[ গ্রামের শারদীয়া দুর্গাপূজোর পটভূমিকায় কবিতাটি লেখা । কবিতায় গ্রামের সাধারন পরিবেশের সাথে শারদীয় উৎসবের গভীর অথচ সরল সাদাসিধে সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। একজন গ্রামের শিশু বা কিশোর-কিশোরীর চোখে আগমনী র রূপ যে ঠিক কি, তা এক সরল কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরবার প্রয়াস । ]
ঘরে ঘরে রঙ পোতাই
চলছে ঝাড়া-মোছা,
পূজো এসে গেল কাছে
ঘর দোর সব গোছা।
কাজের চাপে কুমোর পাড়ায়
পড়ে গেছে সাড়া,
মূর্তি এখনও হয়নি রেডি
সবাই দিচ্ছে তাড়া।
মায়ের সাজ রয়েছে পড়ে
চোখ আঁকা বাকি,
কাজের মাঝে বায়না নিতে
এলো আবার ঢাকি।
আরো ক’বার দিতে হবে
রঙতুলির ছোঁয়া।
ঘরে ঘরে হচ্ছে তৈরি
মুড়কি আর মোয়া।
গ্রামে গঞ্জে চারিধারে
পূজো পূজো রব,
বিদেশেতে থাকে যারা
আসছে পূজোয় সব।
মেজকারা আজই এলো
পূজোতে নিজ গ্রামে,
সকালবেলা উঠেই দেখি
কার থেকে সব নামে।
কারো হয়েছে জামা কেনা,
কারো বা আছে বাকি,
ড্রেসের সাথে কিনতে হবে
সাজ গোজের টুকিটাকি।
মিনুদিদি পড়বে শাড়ী
দিতে পুষ্পাঞ্জলি,
ছোড়দি আবার ধরেছে বায়না
পড়বে ঘাগড়া-চোলি।
পূজো এলেই খাওয়া দাওয়া
আর আড্ডা মারা,
একসাথে যাব ঘুরতে
করেছি গাড়ী ভাড়া।
একেকটি করে মোরা
দিন গুনে যাই,
পূজো এলেই মনে জাগে
খুশির রোশনাই।
শিউলির গন্ধে বাতাস আজ
হয়েছে মাতোয়ারা,
কাশফুলে ছেয়ে গেছে
মাঠ-ঘাট সারা।
আবার এসো গাই সবে
আগমনী র গান,
ভুলে সব দুঃখ কষ্ট
মান-অভিমান।