নিস্তব্ধ রাত , চাঁদের আলোতে রাস্তা তা জনো সেরকম একটা অন্ধকার নেই। আমার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছি, আসলে আমি রোজ সাইকেল এ ফিরি কিন্তু হঠাৎ দেখি সাইকেল টি চাকাটি র হাওয়া নেই। দেখে ভাবলাম এই রাত এ অন্ধকারের জনগনহিন রাস্তা তে আর কোথাও কোনো দোকান খোলা নেই তাই কোন খানে সারাব তার ছেয়ে বরং পরের দিন সকালে এসে সরিয়ে নেবো। আমার বাড়ি আমার অফিসের থেকে প্রাই ১ থেকে ২ মাইল হবে। রোজ সাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে যাই কিন্তু তাদের দেরি হবে বলে তারা আগে সাইকেল নিয়ে চলে গেছে তাদের নিজেদের মতো। আমিও আর বাঁধা দেইনি। আমি যখন হেঁটে যাচ্ছি হটাত খেয়াল করলাম কোন এক অদৃশ্য মেঘ চাঁদ তাকে ঢাকা দিয়ে পুরো রাস্তা জঙ্গল গুলো কে এক অন্ধকার দেশে নিয়ে যাচ্ছে। অরু অন্ধকার নেবে এসেছে। হেঁটে চলেছি এখনো প্রায় আধা মাইল বাকি পৌঁছাতে কিছু দেখাও যাচ্ছেনা। সব অন্ধকার তাও যত দূর দৃষ্টি যায় চোখের দৃষ্টি ফেলে দেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং মনে মনে ভাবছি কী সমস্যা তে পরলাম। হটাত এক দমকা হওয়া খুব জোড়ে আমাকে টান মেরে ফেলার মতো আমার গায়ের পাস দিয়ে উরে বয়ে চলে গেলো। মনের মধ্যে কেমন একটা জানো ভয় সৃষ্টি হলো কিন্তু নিজেকে ঠিক রাখার জন্য নিজেকে বললাম ঠান্ডার রাত এ এরকম হওয়া বোয়ে চলে কিন্তু একটু এগিয়ে দেখি কেউ জন্য দাড়িয়ে আছে আমার দিকে হাত দেখিয়ে আর হালকা সরে বলছে “আমায় চিনতে পারছ?” , “বলত আমি কে?” প্রায় তিন চার বার শুনতে পাই। শুনে একটু আতঙ্ক পেলাম এগিয়ে গিয়ে যে দৃশ্য দেখি তাতে আমার সারা শরীর গরম হযে এলো এই ঠান্ডার রাত্তিরে শরীর দিয়ে আমার ঝর্নার মত জল ঝরতে শুরু করলো। আমি দেখি এ যে আমাদের মৃত কাজের লোক সম্ভু প্রায় আট মাস হতে চললো মারা গেছে আমি কাপতে শুরু করলাম ওই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে। চেল্লিয়ে উঠতেই কে একজন আমার ধাক্কা মারলো।
আমার চোখ দুটো খুলে দেখি সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। ঘরটাও প্রায় অন্ধকার, দেওয়ালে সেই চাকরের ছবি ফুলের মালা পড়ানো ঝুলছে তখন বুঝতে পারলাম যে আমি কখন শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছি তা খেয়াল নেই কিন্তু….কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না যে কে আমায় ডেকে দিল? আমার বাড়িতে তে এখন ত কেউ নেই তা ছাড়া বাবা মা তো কাকীর বাড়িতে এখন আসার ও কথা নেই ২ দিন আগে গেছে ১ সপ্তাহ পর আসবে বলেছে হঠাৎ আমার দৃষ্টি তা পরলো খাটের উত্তর পশ্চিম কোনায় আবার আমার পুরো শরীর চমকে উঠলো সেই সমভু কাকার দর্শন পেয় আমার খাটের পাশে বসে আছে যে অমায় ডেকে তুলে দিল কিছুক্ষন আগে।