আমি আছি, হ্যাঁ
সকালের হালকা হাওয়ার সুড়সুড়িতে আমি আছি
মুক্ত বেনীর মায়াজালে আমি আছি
শান্ত জলের চকিত প্রতিবিম্বে আমি আছি
গহন মেঘের কম্পনে আমি আছি;
আমি থাকি ওই ঘন কালো চোখের মণিতে
মণি থেকে উপচে পড়া অশ্রুতেও আমার বাস,
হোক অট্টহাসির গর্জন বা হোক চাপা ঠোঁটের কোণে থাকা লাজ
হোক শতাব্দী পুরানো প্রাসাদ কিংবা নবীনতম উদ্ভাবন
তাতেও আমি নিজেকেই পাই;
দূর পর্বতের বুক চিড়ে যখন রক্ত লাভা বেরোয় তখন
আমার বুকে থাকা চাপা ক্ষোভ মুক্তির উল্লাসে মেতে ওঠে,
মহাসমুদ্রের উদাত্ত গর্জন যখন আকাশের বুক চিড়ে ফেলে তখন
আমারি প্রতিবাদ ধ্বনীর কল্লোল মাত্রা পেয়ে থাকে
সহস্র আকুতিময় কণ্ঠ যখন এক ছাদের নীচে এসে
“candle light march” করে সেই আকাশচুম্বী ধ্বনীর প্রতি স্পন্দনে
আমি আছি।
আমি আছি, হ্যাঁ
ছোট্ট শিশুর আলতো ছোঁয়ায় আমি আছি
মূমূর্ষের শেষ ইচ্ছায় আমি আছি
আশীর্বাদি পুষ্পের অংশ আমি,
অভিশাপী গরলের যন্ত্রনা!
প্রতি দিনে, প্রতি ক্ষণের, প্রতি মূহুর্তের
আমাতে আমি থাকি,
ভব্য ভবিষ্যতের
তোমাতে আমি থাকি;
হাজার সাগর পেরিয়ে, সময়ের যবনিকা ভেদ করে
দুঃখ আর উল্লাসের মহাযাত্রা পার করে আমি ফিরব
সেই মাতৃক্রোড়ে ॥