শোণিত ধারায় দাও হে ভাসিয়ে–কর সুভাষকে বিশ্বাস,
স্বাধীন ভারত অচিরেই নেবে সুবাসিত এক নি:শ্বাস।”
দেশবন্ধুর পরম শিষ্য–স্বামিজী আলোকে তৃপ্ত,
আজাদ বাহিনী তব আহ্বানে করে আপনারে দৃপ্ত।
ভারত মায়ের দামাল ছেলে–সুভাষচন্দ্র তুমি,
তোমার স্বপ্ন সফল হয়ত–ভারত স্বাধীনভূমি।
কিন্তু সত্য কি দেশ স্বাধীন আজিকে–বিরাট প্রশ্নচিহ্ণ,
দেশবাসী হায় দ্বেষ হিংসায় সতত ছিন্নভিন্ন।
মুক্তির ঐ দেউল সোপানে কত প্রাণ বলিদান,
হায় তুমি কোথা–তোমার জন্য মায়ের আকুল প্রাণ,
বীরের আসন চির শূন্যই – হবে না কভুই পূর্ণ,
তোমার বিহনে দেশমাতৃকা–হৃদয় জীর্ণ দীর্ণ।
স্বদেশের লাগি মুক্তির তরে হে শূর সংগ্রামী,
বাজি রেখে গেলে আপন জীবন অনন্তকাল তুমি,
বিস্মৃত বীর–রয়ে গেলে তুমি যবনিকাটির পিছে,
কিন্তু তুমিই শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা–কথাটি নয়কো মিছে।
হে মহাসাধক–আত্মত্যাগী কে আছে তোমার তুল্য !
ভারতবর্ষ দিয়েছে কি কভু সেই সাধনার মূল্য !
কারো মতে তুমি পরাক্রমী–কারো মতে দেশপ্রেমী,
এই কপটতা, নির্লজ্জতা–বিমর্ষ আজি আমি।
—————————————————————
স্বপন চক্রবর্তী।