শুনেছিস্ কি দর্জিপাড়ায় এসেছেন এক বদ্যি !
এক নিমেষে সারিয়ে দেবেন একবছরের সর্দি।
আর যদি করোনা হয় তাঁর কাছে ত’ নস্যি,
ওষুধ নাকি ঠান্ডা জলে এক পাত্র লস্যি।
আর যে রুগীটি পেটের ব্যামোয় ভুগছে উদয়–অস্ত,
তার জন্য পথ্যিটি তাঁর শুধুই ঝাল পোস্ত।
জ্বর তাড়ানোর উপায়টিও আজব কি সে কম্ বা !
ঠাণ্ডাজলে দু বেলা স্নান–জ্বর দেবেই লম্বা।
এমনতরো বদ্যি নাকি একজনই এই বংগে,
যার ওষুধে রোগটি হাওয়া–রুগীও কি সেই সংগে !
নিন্দুকেরা সবাই বলে–পটল কবিরাজ,
কি বললি–তার কাছেই যাচ্ছিস তুই আজ!
কিসের ব্যামো–বুক ধড়ফড়,পিলের ভীষণ জ্বালা–
খবরদার অমন কাজটি করিস নে তুই প্যালা।
এই বয়সে পটল তোলার শখ হয়েছে নাকি !
পটলডাঙার টেনিদাকে দিবিরে তুই ফাঁকি !
শিং মাছের ঝোল বুঝি আর রুচছে না তোর মুখে!
কবিরাজের কাছে তুই যাচ্ছিস সেই শোকে !
করোনার এই বিপর্যয়ে বাইরে যাওয়া মানা,
ওরে প্যালা তোর কি সেটা নেই মোটেই জানা !
ঠিক আছে ভাই–চপ,কাটলেট,মাছ,মাংসের ভাগ,
এক আধটা তুইও পাবি–করিস কেন রাগ !
করোনাটা বিদেয় হলেই যাবো রে কস্তুরী,
কিম্বা যাবো তোকে নিয়ে মান্না ভজহরি।
মাস দুয়েক কষ্টেসৃষ্টে থাক না বাড়ি বসে,
আমার কথা না শুনলে গাঁট্টা খাবি কষে।
গাঁটের কড়ি লাগবে না তোর–দিচ্ছে টেনি কথা,
তোকে ছাড়া চারমূর্তি–ভাবতে লাগে ব্যথা।
ঝন্টিপাহাড়,ঝাউবাংলো–যায় কি সেসব ভোলা !
হাওয়া বদল করতে মোরা আবার যাব প্যালা।
কোরোনাকে পাঠিয়ে দিয়ে সূয্যিমামার ঘরে,
ক্যাবলা,হাবুল,আমি,তুই যাব অনেক দূরে।
এবার যাওয়া বক্সাদুয়ার–রাজাভাতখাওয়া,
দেখবি প্যালা–পিলের রোগ–এক্কেবারই হাওয়া।
“ডিলাগ্র্যাণ্ডি মেফিস্টো–ইয়াক্,ইয়াক্,ইয়াক্,”
চারমূর্তি জিন্দাবাদ–সব্বাই বেঁচে থাক।