গঙ্গোত্রী থেকে দক্ষিণেশ্বর – গঙ্গা প্রবহমান,
যেথায় সকলে সকাল বিকাল করে পুণ্যস্নান।
ভাবে সকলেই গঙ্গাস্নানে সারা অবয়ব শুদ্ধ,
কিন্তু কেবল আপন বিবেকই পাপের স্পর্শে বিদ্ধ।
তাই অবগাহনে শরীরই কেবল হয় মালিন্য হীন,
বিবেক তেমনই থাকে ত’ ক্লিন্ন, থাকে অবিরল দীন।
কেবল কর্মে আত্মশুদ্ধি–পুণ্য কর্মে শক্তি ,
যতই করো না গঙ্গাস্নান, কর ঈশ্বর ভক্তি।
হরি হরি নামে মন্ত্রের জপ–এদিকে হৃদয় পঙ্কিল,
অশুদ্ধ পথে পদবিক্ষেপ–পাপ কর্দমে পিচ্ছিল।
ভাবো কি কেবল দেবতার নামে হয় কি কাহারো মুক্তি !
গঙ্গাস্নানে কখনো বাড়ে না আপন আত্মশক্তি।
বিবেক তোমার যেথায় কেবল হীনতায় পরিপুষ্ট,
অসাধু পন্থা অবলম্বনে সতত স্বার্থদুষ্ট,
কিমতে সেথায় ঈশ্বর নামে অর্জিত হয় পুণ্য !
সবার উপরে শুদ্ধচিত্ত–তবেই ত’ তুমি ধন্য।
তাই কহে কবি –হে মানবজাতি, নির্বোধ অতিশয়,
গঙ্গাস্নানে কখনো হয় না হৃদির কালিমা ক্ষয়।
গঙ্গার ন্যায় কর পবিত্র আপন হৃদয়বত্তা,
তবেই লভিবে তাঁহার আশীষ–হইবে পুণ্যসত্তা।
—————————————————————
স্বপন চক্রবর্তী।