গান ধরেছে পদ্মনাথন,
কানের মধ্যে দিচ্ছে মাতন,
যেন ঝড় বইছে ফণী,
গাইছে তেড়ে প্রাণপণ,
ঘুরছে মাথা ভন্ভন্ ,
প্রাণ নিয়ে টানাটানি।
বলছি হেঁকে–গেলাম মরে,
কে কার কথা শুনছে ওরে,
পদ্মনাথন গায়–
গানের দাপে আকাশ কাঁপে,
বিশ্ব বুঝি ফাটল তাপে,
রাতেও সূর্যোদয়।
হাঁকছি আমি–আর না দাদা,
বন্ধ করো গলাসাধা,
দাওগো এবার মুক্তি–
কিন্তু কে কার কথা শোনে,
একুশটা গান গাইছে গুণে,
এবার হবেই রক্তারক্তি।
গাইছে দাদা কেলায়োতি,
জ্বালিয়ে ঘরে মোমবাতি,
বন্ধ আমার শ্বাস–
লোডশেডিংএ গেছি ফেঁসে,
কি দুর্গতি যাবোই টেঁসে,
শিয়রে ‘কে’ ভাইরাস।
কদিন ছিল কণ্ঠ বুজে,
ভেষজ কত আনলে খুঁজে,
কমলসম গলা–
কুলি করেই দিবারাতি,
করলো সেটি মেরামতি,
আমার হল জ্বালা।
কোরোনার এই লক ডাউনে,
থাকবো না আর ঘরের কোণে,
পুলিশগো পায়ে পড়ি–
লক আপেতে ঢোকাও মোরে,
প্রাণটা নয়ত যায় বেঘোরে,
দেবোই গলায় দড়ি।
পেলে কোনো পাগলা পাঁঠা,
উপড়ে দেবো পথের কাঁটা,
মারবে শিঙের ডান্ডা–
গুঁতোর চোটে পিঠের জ্বালা,
বুঝবে দাদা কেমন ঠ্যালা,
পদ্মনাথন ঠাণ্ডা।