শারদের নীলাম্বরে শুভ্র ঘন হেরি’,

চিত্তপটে বাজে আজি উৎসবের ভেরী।

গম্ভীর ধ্বনি শুনি ওই আকাশের বুকে,

নৃত্য করে হৃদি কোন অনাবিল সুখে।

নাহি এটি শরতের বরিষণ ভাষা,

তামসী প্রকৃতি মাঝে আলোকের দিশা।

মহাশূন্য ঘর্ঘরিত রথচক্র রবে,

কাঁহার আসার আশে উদ্বেলিত সবে !

ধরণী কপোল সাজে অশ্রুর বেশে,

কনক অন্জলী দেয় শ্বেতবর্ণ কাশে।

ঊষশী সাজিছে এক স্বর্ণালী করে,

প্রকৃতি গাহিছে গান আগমনী সুরে।

চারিদিক আমোদিত অনিন্দ্য সুবাসে,

বাতাসেতে রিনিঝিনি মধুর বিভাসে।

নীলোৎপল মল্লিকা মাধবীর দোলা,

শাপলা শালুক করে তটিনীতে খেলা।

কাঁহার আগমনে সাজিছে ধরণী,

তিনি দেবী তিলোত্তমা পিনাক ঘরণী।

ত্যজিয়া স্বামীর গেহ অনন্ত কৈলাস

আসিছেন মর্ত্যে তিনি দানবের ত্রাস।

আনন্দরূপিণী মাতা শক্তিস্বরূপিণী,

তিনি দেবী শারদা জগৎজননী।

প্রার্থনা করো এবে হে মর্ত্যবাসী,

এবার ফিরাও মাগো জীবনের হাসি।

Print Friendly, PDF & Email
0 0 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments