“সরস্বতী মহাভাগ্যে বিদ্যে কমলো লোচনে ,বিশ্ব রূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহি নমস্তুতে!!”

সরস্বতী পুজো মানে আমার কাছে একটা স্পেশাল দিন ..সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি সরস্বতী নাকি আমাদের কুল দেবী ..আমাদের বংশ না খেতে পেয়ে মরলেও কোনোদিন বিদ্দের অভাবে মরবে না !হে হে …যাইহোক …আমার ঠাকুরদারা ছিল চার ভাই ,তাই কোনো এক কালে সবাই মিলে এই পুজোর সূচনা করেছিল ..এক এক বছর এক এক ভাই এর পালা পড়তো এই পুজো করার ..আমার দাদুর পরে সব দায়িত্ব নেয় আমার বাবা..তাই প্রতি চার বছর অন্তর আমরা সবাই মিলে চলে যাই বীরভূমের এক প্রত্যান্ত গ্রাম গোপালপুরে ..কলিকাতা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ..আর সেখানেই হয় আমাদের এই কুল দেবীর আরাধনা ..তবে এই বীরভূম যাওয়া নিয়ে অনেক কান্ড আছে…অনেক দিনে আগে যখন আমার জন্ম হয়নি তখন বাবা তার ভাই বোন দের নিয়ে চলে যেত এই গ্রামে .এখানে যাওয়ার আগে সে অনেক ব্যাবস্থা..তখন প্রচন্ড ঠান্ডা থাকতো তাই লেপ কম্বল সব বেঁধে নিয়ে যেতে হতো ..মানুষের থেকে বাক্সর সংখ্যা বেশি …আর বাবার কাঁধে ছোট তিন বোন আর এক ভাই প্লাস এত গুলো বাক্স নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব …বাবা একদম হিমশিম খেত ..তবে বাবার মুখেই এই ঘটনা শোনা ..একবার এই রকম এক সরস্বতী পুজোর পালি তে বাবারা যথারীতি বেরিয়ে পড়েছিল সবাই মিলে গোপালপুরের উদ্দেশে ..সঙ্গে সেই মানুষের চেয়ে বেশি সংখ্যায় বাক্স..লোকাল ট্রেন ধরে প্রথমে হাওড়া যেতে হবে তারপর হাওড়া থেকে আমুদপুর এর ট্রেন…সেই সময় বাবাদের একটা কুকুর ছিল..রাস্তার কুকুর ছিল কিন্তু খাবার দাবার পেতো বলে সে বাড়িতেই থাকতো …সেই কুকুর ছিল দারুন প্রভু ভক্ত..কেও ট্রেন ধরতে গেলেই তার সাথে স্টেশন পর্যন্ত যেত সি অফ করতে..বাবাদের সাথে সেই বারো গিয়েছিলো তাদের এই কুকুর (নাম তা মনে নেই )..লোকাল ট্রেন এ বাবা সব ভাই বোনে দের তুলে দিয়ে ,বাক্স সব তুলতে তুলতে ট্রেন এর হুইসেল ..ব্যাস সব গড়বড়! বাবা কে কিছু বাক্স ছেড়েই ট্রেন উঠতে হয়েছিল কারণ ভাই বোনেরা ট্রেন এ ..সে এক বিধি বিচ্ছিরি অবস্থা…এখন সেই পরের স্টেশন গিয়ে আবার ফেরত এসে এইসব বাক্স নিতে হবে …কিন্তু যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে তো র পাওয়াই যাবে না…বাবা মনে মনে ভাবছিলো উফ কার মুখ দেখে যে দিনটা শুরু হলো কে জানে …পরের স্টেশন এ যথারীতি নেমে আবার অনেক পরিশ্রম করে আগের স্টেশন ফিরে এসে দেখে বাবাদের কুকুর টা দারুন চেচাচ্ছে আর বাক্স আগলে বসে আছে…দেখে বাবা সস্থির নিঃশাস ফেললো ..যাক কুকুর তা আছে, কিছু চুরি যায়নি ..একটা লোক তো বাবা কে বলেই ফেললো আপনার কুকুর নাকি ..? ভারী গুনের কিন্তু …একদম সেই থেকে দেখছি বাক্স আগলে বসে আছে আর কেও বাক্সর ধারে আসলেই চিৎকার করছে …কি ট্রেনিং দিয়েছেন মাইরি ..বাবা তো শুনে খুব প্রাউড ফিল করছিলো বোধয় ..রাস্তার কুকুর , এত নিজের ঘরের লোকের মতোই..বাবা কখনো সপ্নেও কল্পনা করেনি কুকুরটা এত ইন্টেলিজেন্ট ছিল ….

এত গেলো বীরভূম যাওয়ার গল্প…এবার গোপালপুরে আসা যাক..আমার বয়স তখন ৭ কি ৮ হবে ..দাদুর একটা দোতালা মাটির বাড়ি ছিল …সেই বাড়ির ঠিক পাশেই ছিল সরস্বতী ঠাকুরের মাটির মন্দির…যেখানে তৈরী হতো মিত্র বংশের সরস্বতী প্রতিমা..আমাদের সরস্বতী পুজো টা একটু অন্য রকম ..এখানে সরস্বতীর সাথে লক্ষীর ও রো পুজো হয় ..আর সঙ্গে থাকে জয়া আর বিজয়া ..তিন দিন ধরে চলে এই পুজো…ঢাকিরা এসে ঢাকের নাচ দেখায় …পাশে সরকার দের পুজো হয়…চলে ঢাকির কম্পিটিশন..ঢাকে আওয়াজ কম হলে চলবে না..দাদুর দোতালা বাড়ির নিচের তলায় একটা ঘর ছিল সেখানে রাখা হতো .পুজোর সব জিনিস ..সেই ঘরে ঢুকলেই একটা অদ্ভুত সুন্দর মাটি মেশা ফুল ফল মুড়কির গন্ধ ছাড়তো ..সবচেয়ে ভালো লাগতো সরস্বতী মন্দিরের চাতালে বসে ঠাকুর বানানো দেখতে ..ঘন্টার পর ঘন্টা সেই খানেই আমার সময় কেটে যেত …শিল্পীর হাতে কি সুন্দর মা বিনা পানি সেজে উঠতো এক অলৈকিক সুন্দোর্যে ..মায়ের মুখটাই দেখতাম, কি অদ্ভুত সুন্দর লাগতো ..একটা ছোট্ট মাটির ঘর ,সেখানে জ্বলছে একটা টিম টিমে হ্যাজাক ,আর সেই অল্প আলোতেই মায়ের শ্বেতবর্ণ মুখটা কত উজ্জলতার সাথে উদ্ভাসিত..”কি অপরূপ সুন্দরী আমারদের সরস্বতী মা ” -এটাই মনে হতো ..

পুজোর ফল ফুল সব আনতে যেতে হতো কয়েক ক্রোশ দূরে লাভপুরে থেকে ..তারপর সব ঢাকিদের কেও বাবা আগে থেকে বায়না দিতো ..সরস্বতী পুজোর দিন সকালে ঘট্ আনতে যেত সবাই মিলে সঙ্গে ঢাকিরা ঢাক বাজাতো ,আর এক বাঁশি বালাও ছিল ঢাকিদের গ্রুপ এ ..সে খুব সুন্দর বাঁশি বাজাতো …এই ঘট্ আনার ব্যাপারে আর ঠাকুর বিসর্জনের ব্যাপারে সরকার আর মিত্র রা একসাথেই যেত ..তখন আর কম্পিটিশন হতো না !..সবাই যেন এক পরিবারের মতো এক সাথে দীঘি এর দিকে রওনা হতো..বাড়ির বড় ছেলে কে আনতে হতো সেই জলভর্তি ঘট মাথায় করে..আমার বাবা যেহেতু বাড়ির বড় ছেলে ছিল বাবাই যেত ঘট আনতে…গ্রাম টা যেহেতু খুব ছোট , যখন মিত্র আর সরকার দের মিছিল বেরোতো ঘট আনার জন্য তখন গম গম করতো গোটা গ্রাম…রাস্তার ধারে সারি সারি তাল গাছ ..তার পাশ দিয়ে চলে গেছে দীঘি যাওয়ার মেঠো ধুলো ওরা পথ .. সে মেঠো পথ দিয়ে দুই বংশের দুই বড় ছেলে মাথায় ঘট নিয়ে চলতো .একদল সাদা ধুতি পড়া ঢাকি সঙ্গে চলতো ঢাক বাজাতে বাজাতে আর থাকতো নাপিত ..নাপিত চলতো ধুনো আর ধূপকাঠি হাতে .. এই ধুনোর গন্ধ,সকালের ঠান্ডা বাতাসে মেঠো রাস্তার মাটির গন্ধ ..সব মিলিয়ে এক সুন্দর পুজো পুজো গন্ধ বেরোতে আকাশে বাতাসে …ঘট আনার পর শুরু হতো সরস্বতী পুজো ..গ্রামে অনেক লোক এসে জড়ো হতো পুজো দেখার জন্য ..তারপর পুষ্পাঞ্জলি সবাই মিলে খুব মজা হতো…এরপর থাকতো প্রসাদ বিতরণের পালা .. সেই প্রসাদ দেওয়া ছিল খুব কঠিন কাজ ..যারা নিচু জাত ছিল তাদের নাছুয়ে প্রসাদ দিতে হতো…তবে এত কঠিন কাজ আমার কোনোদিন এ পালন করা হয়ে উঠেনি…আমার তো সব কটা বন্ধুই ছিল বাগদি দের পরিবার থেকে..তাদের সাথে সে কত ছোট ছুটি ,তেতুল পারা,ছাগলের বাচ্চা ধরা, খড়ের গাদার উপর উৎপাত করা,গরু কে হাত বুলাতে গিয়ে গরুর লাথি খাওয়া .আরো কত কি ..তবে ঠাকুরের আরতির সময় আমি নিজের মাথায় কাসর ঘন্টা বাজানোর দায়িত্ব টা তুলে নিতাম ..কারণ আমার খুব ভালো লাগতো ঢাকের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে কাসর বাজাতে …আরতির শেষে হাত লাল হয়ে যেত,তাও একবার ও আমার হাত থামতো না..

পুজো শেষে এবার দুপুরের খাওয়া দাওয়া.. শীতের রোদ্রে মাটির চাতালে বসে আম গাছের নিচে বসে শাল পাতায় গরম বেগুনি, আলো পোস্ত,ডাল, মোটা চালের ভাত আর বীরভূমের স্পেশাল টক ..উফ দারুন লাগতো খেতে..খাওয়ার পর আমি পিসি কাকা দের সাথে মাঝে মাঝে চলে যেতাম অজয় নদের তীরে ..ওখানে বসে থাকতাম ,আর আসার সময় আমাদের খেত থেকে আঁখ ভেঙে আনতাম ..তারপর সন্ধ্যার আরতির প্রস্তুতি ..সন্ধ্যায় ঠান্ডা একটু বেশি এ থাকতো ..ইলেকট্রিসিটি তো ছিল না গ্রাম এ ..তাই থাকতো কয়েক টা হ্যাজাক ..তার মধ্যে একদম নিস্তব্ধ সন্ধেয় বেলায় ঢাকের বাজনায় গম গম করতো ভগবতী ভারতীর বন্দনা..

রাতে ও খাওয়া দাওয়া চলতো জম্পেস ..বীরভূমের জলের সাধে খাবার দাবার এর সাধ ছিল অনাবিল ..রাতে চাঁদ টা খুব বড় দেখাতো আর আকাশ ভোরে থাকতো অসংখ তারারা ..এইসবের মধ্যে রাতে পিসিদের সাথে চলতো ভূতের গল্প ..আর ডাইসিনি মায়ের গল্প ..পিসিরা বলতো ডাইসিনি মা নাকি কালির সাধক মুখ দেখে বলে দিতে পারে লোকের ভবিষ্যাৎ ..একবার নাকি পিসিরাও গিয়েছিলো দাদার খোঁজ করতে ..একবার বাবার গ্রাম এ আসার কথা ছিল আর বাবা আসছিলো না ..তখন তো টেলিফোন ছিল না যে একটু খোঁজ নেবে…তাই পিসিরা টেনশন এ ডাইসিনি মায়ের সরণা পণ্য হয়েছিল নাকি…সেই বুড়ি নাকি সঠিক বলেছিলো বাবা কোন ট্রেন এ আসবে !!..আমার অবশ্য এই মহিয়সী মহিলা কে দেখার সৌভাগ্য বা দূর্ভগ্য হয়ে উঠেনি …রাতে অবশ্য ছিল আরেক ভয় ..ডাকাতের …একবার আমার ছোট মামাও গিয়েছিলো সরস্বতী পুজো তে আমাদের গ্রাম এ ..সেই রাতের ঘটনা আজ ও মনে পড়লে আমার হাসি পায় ..আমরা পিসি,কাকা আর মামা মোট ৫জন মিলে একটা ঘরে ছিলাম..এদিকে মামাকে দাদুর এক ভাই(সবাই তাকে পল্টু দা বলে ডাকতো )বলেছিলো রাতে কিন্তু ডাকাতেরা ঘোড়ায় করে আসে ,একটু সাবধানে থেকো ,তবে ভয় এর কিছু নেই..”পচা (দাদুর ডাক নাম) তো আমাদের পুলিশ ছিল ..ডাকাতরা কোনোদিন পচার ঘরে ডাকাতি করে নি”..কিন্তু এই সব শুনে ছোট মামার তো অবস্থা খারাপ..সেই ভুল ভুলাইয়ার সিনেমার রাজ্ পাল যাদব এর কথা মনে পরে মামার কথা ভাবলে..রাত তখন ২কি ৩ টা হবে ..মামা গেছে বাথরুমে ..আমরা সবাই বেশ জাগা জাগা ডাকাতের ভয়ে …অমনি শুনি কারা যেন ঘোড়ার উপর চড়ে বাড়ির পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে .কাকা বলে এটাতো ঘোড়ার আওয়াজ ই ..হটাৎ একটা ঘোড়া যেন ছুটতে ছুটতে আমাদের বাড়ির পাশে এসে থেমে গেলো..অমনি সবার পিলে চমকালো…সবাই ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলো এই পরান (কাকার ডাক নাম) ডাকাত কি এলো নাকি!! ..ওদিকে যিনি লম্ফো নিয়ে বাথরুম গিয়ে ছিলেন তিনি আমাদের কথা শুনে ..ভয়ে বাথরুম এর চৌবাচ্চায় লম্ফো দিলেন ফেলে ..ফেলেই এক ছুটে লেপের ভিতরে ! ব্যাস সব অন্ধকার ..সবাই জড়ো সরো হয়ে কোনো রকম এ রাট তা কাটলো ..সকল এ আলো ফুটতে না ফুটতেই পল্টু দা দরজায় -“কি হে চন্দন (মামার নাম) মর্নিং ওয়াক এ যাবে নাকি?” ..মামা তখন ভাবছিলো বোধয়, কি কুক্ষণে না এই গ্রাম এ এলাম…

সবাই হাত মুখ ধুয়ে ,ঠান্ডায় দুমগজল ঢেলে চলে যেতাম সরস্বতী তলায় ..আজ কে পুজোর দ্বিতৃয় দিন ..তোড়জোড় শুরু হলো ফল কাটার আর মাটির উনোনে ঘিয়ের লুচি ভাজার..উনোনে ঘিয়ের লুচির গন্ধ দারুন লাগতো মনে হতো খেয়ে নি দুটো গরম গরম..তারপর মায়ের আজ্ঞা মেনে ঠাকুর এর আগে খাওয়ার অপেক্ষা করতাম…আবার চলতো পুজো ধুম ধাম করে ..আমাদের ভাগের অনেক পুকুর ছিল..সেই পুকুরে ধরা হতো মাছ..যে যার ভাগের মাছ নিয়ে যেত..আমাদের ভাগেও মাছ পড়তো একঝুড়ি ..তবে সরস্বতী পুজোয় আমাদের করা নিয়ম ..ডিম্ র মাংস খাওয়া যাবে না…শুধু মাছ! ..আর গরম গরম মাছ ভাজা খেতে দারুন লাগতো ..মামার তো লোভে পাপ হয়েছিল একবার ..এত মাছ ভাজা খেয়ে সে পেটের অবস্থা চরমে ..গ্রামের একটাই মুশকিল ডাক্তার এর বড় অভাব…ভাগ্গিস কিছু ওষুধ ছিল মায়ের কাছে…শেষ দিনে সরস্বতী পুজোর বিসর্জনে বাড়ির সব ছেলেরা মিলে সরস্বতী মায়ের বরণ করতো ..যেটা মেয়েরা করে দুগ্গা পুজোতে ..এখানে ঠিক উল্টো ..পুরুষ শাসিত এই সমাজে এই অধিকার মিত্র পরিবারের ছেলেদের উপর বর্তে ছিল ..বরণের পর ঠাকুর কে বাঁধা হতো বাঁশে ,আর আস্ত বাগ্দীদের নাচানে রা ..তারা চারজন মিলে দুটো বাঁশের উপর বাঁধা ঠাকুর কে তুলে নিতো কাঁধে, তারপর ঢাকের তালে চলতো ঠাকুরের বিদায়ের নাচ ..এরপর সবাই মিলে ঠাকুর নিয়ে চলে যেত বুড়ো শিব তলায় সেখানে আসতো সরকার দের ঠাকুর ও , দুই ঠাকুর মিলে আবার হতো নাচ ..তারপর ঠাকুর চলে যেত ভাসানের জন্য..আর আমরা দেখতাম আতস বাজি পোড়ানো…

শেষ দিনে থাকতো গ্রামের মচ্ছপঃ ..সবাই গ্রামের লোকেরা একসাথে জড়ো হয়ে চলতো এক মহা ভোজ ..শাল পাতায় গরম ধুলো মাখা খিচুড়ি এর সাধ আজ ও লেগে আছে মুখে ..সবমিলিয়ে এই সরস্বতী পুজো ছিল আমার কাছে এমন একটা অনুভূতি যেটা আমি আজ ও বার বার বাঁচতে চাই .ঢাকের আওয়াজ ,গ্রামের মেঠো পথ ,অজয় নদ ,আকাশ ভরা তারা,বাতাসে ধুনোর গন্ধ ,মাটির চাতালে কোন কনে ঠান্ডায় খাওয়া দাওয়া,মিষ্টি মন্ডা,গ্রামের মানুষের সরলতা ,আজ ও আমাকে মিস করায় ছোট বেলার সেই খৈ মুড়কির দিন গুলো…

 

 

~ বিদ্যাংদেহি নমস্তুতে!! ~

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleপলাতকা
Next articleআমার মেজো কাকা
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments