মা থাকতে হয়তো সকলে বোঝেনা মায়ের মূল্য,
মাসি, পিস্ যেই হোক হয়না মায়ের তুল্য।
ছোটোবেলায় আঙ্গুল ধরে সেখানে পথ চলা,
তারপর বুলি শেখানো শিখি কথা বলা।
হাতে করে খাইয়ে দেওয়া, হাতে ধরে লেখা,
বড়ো হয়ে যা শিখেছি, তোমার দেখেই শেখা।
স্কুল হতে ফিরতে বিলম্ব হলে রইতে দুয়ারে দাঁড়ায়ে,
মেয়ে বুঝি তোমার হয়নি বড়ো, যাবে বুঝি পথ হারায়ে?
পড়ে গিয়ে যদি কভু পেয়েছি একটু ব্যথা,
নয়ন ভরা জল নিয়ে দিয়েছো মলম সেথা।
অভিমান করে কভু যদি বা থেকেছি বসে,
ভেঙ্গেছো তুমি – সেই অভিমান কত না প্রয়াসে।
যখনি করেছে অসুখ-বিসুখ, ছেড়েছো নাওয়া খাওয়া।
মেয়ের সেবায় রইতে রত, এ মোর পরম পাওয়া।
বিয়ে দিয়েও হওনি ক্ষান্ত, রাখতে তারে ভালো,
সকল কিছু উজার করে করেছো সে ঘর আলো।
মেয়ের পছন্দের খাবার গুলি করতে যতনে রান্না,
আজ সেসব খোঁজ রাখেনা, জানতেও কেউ চায়না।
প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ ছলছলে,
শাঁখা-পলা পরা স্নেহ মাখা সে হাত রাখেনা কেউ কপালে।
সারাটা রাত যাতনায় কাতরাতে থাকি আমি,
কর্তব্য করে ক্ষান্ত সকলে, সময় সবার কাছে দামি।
আজ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছো বহুদূর,
চিরদিন হৃদয়ে থাকবে তব-স্মৃতি স্নেহ-ভালোবাসা মধুর।
কারে আর ডাকব আমি এখন মা বলে?
মা ডাক কানে এলেই দু’নয়ন ভরে জলে।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest