পুব দিকে তার বর্জ্র পাহাড় হেলি
লুটিয়ে পড়ছে ভোর রাত্রের তারা
তারই কোলে উষ্ণ বারি স্রোতে
কলরব করে মন্দাকিনী মায়া।
নীরার সেদিন ঘুম লাগেনি চোখে,
নিভেছে বাতি অনেক প্রহর হল।
পুব দিকের ওই পাহাড় কোলে কেমন
চাঁদের আলো মিশছে এলোমেলো।
চমকে উঠছে মন্দাকিনীর স্রোতে
হায়নার ডাক মিশছে দুরের কালোয়ে
নীরার এগুলো সবই কেমন চেনা
দেখছে তবু রাতের আবছা আলোয়ে।
নদীর গন্ধে নেশা লাগছে মনে
স্রোতের শব্দে বিভোর মাতাল প্রেমে
হাঠাত যেন ভিষন শব্দ করে
কে যেন ডাকে, মন্দাকিনীর পাড়ে!
চকিতে হৃদয় কম্পিত হয় ভয়ে
ভোর রাত্রে কে এল মোর দ্বারে !
কে ওই পথিক ডাকছে বারে বারে
ভাঙনের ভয়ে মন্দাকিনীর পাড়ে ?
তার ডাকেতে মরমে লাগছে বাতি
একাকী কোনো সঙ্গি হারা সাথি
খুঁজছে বুঝি দেশান্তরি হয়ে
দ্বুয়ারে দাঁড়ায়ে অধির অপেক্ষায়ে।
নাও খানা তার ভগ্ন হিমস্রোতে
ছিন্ন ভিন্ন শরীর টুকু বেচে
রক্তে মিশেছে মন্দাকিনীর বারি,
দুয়ার তবু বন্ধ আজি তারি।
কলঙ্কভয়ে দুই পা পিছোয়ে নীরা
দেয়নি তবু আর্তনাদের সাড়া।
পথিক যখন বুঝল অবশেষে
ভোরের আলো মন্দাকিনীরর স্রোতে।।