এ কেমন মানবসভ্যতায় বাস করছি হায়
যত কাছে আসি তত বেশি অসভ্য হয়ে যাই –
এখানে মানবিকতাই যেন মোদের করেছে পশু
রক্তপিপাসু যুদ্ধে নেমেছে মরছে দুধের শিশু ।
মনে হয় সবকিছু ছেড়ে দিয়ে আমি চলে যাই
কোন এক নব স্বর্গীয় অচেনায় ।
যেখানে দরকার হবে না আধুনিকায়নের
পুরাতনই ভালো ছিল ও আছে সেই রবে মনে
যতদিন এ অভিশপ্ত সভ্যতা থেকে থাকিব দূরে
যন্ত্র মোদের যান্ত্রিক করে দিয়েছে
সম্প্রীতি সুখ ছিনিয়ে নিয়েছে
কৃত্রিমতা বিরাজমান ।
তাই মনে হয়ে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে চলে যাই
দূরে কোথাও থাকি কোন নির্জন নিরালায়
আপন ভুবনে যেন না থাকিতে হয় একা
সঙ্গী হবে আমার মতো সকল হতভাগা ।
এ সভ্যতা এদের করেছে লাঞ্ছিত ; উপেক্ষিত
যেন সমস্ত জ্ঞান মেধা শুষে শেষমেশ বিতাড়িত ।
যে সভ্যতায় সভ্য মানুষের গুলিতে অসভ্য মরে ,
সেখানে কীভাবে থাকিব আমি হায় !
যদি আমার থাকত কোন উপায় –
চলে , আসতে পারতাম সবকিছু ছেড়ে দিয়ে
ভালটুকু সাথে নিয়ে –
আসলে আমরা মেধাকে করেছি পণ্য
মানুষকে আর মানুষ বলে করছি না কেউ গণ্য ।
মানুষের মত মানুষ গড়ায় আমরা উদাসীন
এ দেহ যে যন্ত্র আর এ মানুষেরাও বিবেকহীন ।
কেন আজও শুনি মানুষের হাহাকার
কেন মন সবকিছু ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে চায় !
এখন বুঝতে পারি যে সভ্যতায় সভ্যের গুলিতে অসভ্য মরে
অসভ্যদের সে সভ্যতা আবার গড়তে হবে , নতুন করে ।