চিৎপাত, কুপোকা্ত, ডিগবাজি ধপাধপ
কানামাছি, ধরাধরি, লুকোচুরি, ড্যাঙগুলি
প্রজাপতি, ফড়িং এর পেছনেতে দে ছুট, দে ছুট
বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে জমা জল রাস্তায় কাগজের নৌকো
পক্ষীরাজের পিঠে সুন্দরী রাজকন্যার সাথে রাজপুত্তর
ব্যঙ্গমা ,ব্যঙ্গমী, রাক্ষস, ডাইনী
ভুত, প্রেত আর দত্যি দানবের
রূপকথা দেশ টা আর নেই বুঝি মানচিত্রে।
নেই নেই কিছু নেই
সারাদিন শুধু পড়া আর পড়া
বাবা মা-র বড় সাধ যেতে হবে আমেরিকা
ব্রেন ড্রেন করতে।
শিশু শ্রম বন্ধ- চীৎকার দেশ জুড়ে
তবুও ত শিশু শ্রম করে যাই
সকাল সাতটায় ঘুম চোখে হাঁটতে যে পারি না
পিঠে নিয়ে পাঁচ কেজি শিক্ষার স্কুল ব্যাগ।
উফ, উফ দশ খানা মোটা খাতা আর আট খানা বই
সবে তো ছয় এ পা মা গো,
এত বোঝা পারি কি এই বয়সে বইতে।
শিক্ষার বাটখারা বাড়তেই থাকবে
কেজি কেজি শিক্ষায় শিক্ষিত রাতারাতি
শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে কি পারব?
সকালেতে পুল কার, আর তার পর শুধু হিজিবিজি ক্লাস।
ক্লাস ওয়ার্ক, হোম ওয়ার্ক আর আনটির শাসানি
প্রাণটা যে যায় যায় মা গো।
রাত এগারোটা বেজে যায় পড়াশুনো সারতে
চোখটা যে বুজে আসে ক্লান্তিতে।
ঘুমের দেশেতে আর পরীরা যে আসে না
স্বপ্নেতে হাঁড়িমুখ আনটি
বাচ্চাটা কেঁদে বলে মাই হোম ওয়ার্ক ইস রেডি ম্যাম।
সৈকত সাতাশি, তুমি কেন পঁচাশি
মা-এর বকুনিতে বাচ্চাটা ভ্যাবাচ্যাকা
মায়েদের র্যাট রেস এ বাচ্চারা গিনিপিগ
ভাবনার পাপড়িরা বিকশিত হয় না
সহজাত প্রতিভাকে গলা টিপে মেরে ফেলে প্রথাগত শিক্ষা
শিক্ষার জাঁতাকলে পিষে মরে বাচ্চারা
কি বিষম আমাদের এই শিক্ষা আর সমাজ ব্যবস্থা।।