বাতাসে মিশেছে বারুদের ঘ্রান,
রক্তে পিছল মাটি
বাড়ির পরে জ্বলছে বাড়ি,
পথের দু’ধারে বিছিয়েছে লাশ
তবুও আমরা বোবা গান্ধারী-
শুনে যাই দুযোর্ধনের উল্লাস।
রাতের আঁধারে হামার্দ আসে
লুটে নিয়ে যায় নারীর ইজ্জত;
দিনের আলোয় গুলি করে মারে
মাঠের মাঝে ক্ষেত-মজুরের প্রান।
জল নেই, নেই জীবন চিহ্ন-
আছে শুধু মানুষের রক্তে তৈরী
উষ্ণ শোণিত প্রস্রবন।
মাঠে ধান নেই, ঘরে জন নেই
গাছের পাতায় বেজে যায় শুধু
নানা রঙ আর পতাকার গর্জন।
মার্কস আজ হয়েছে অতীত
লেলিন পড়েছে বাদ
পতাকারা আজ ক্ষমতা লিপ্সু
পেতেছে মানুষ মারার ফাঁদ ।
দারিদ্রকে নয়, ওরা দরিদ্রকে মারে-
মিথ্যে জীবনের ঝুটা স্বপ্নে ভুলিয়ে
ওরা মানুষের পিঠে ছুরি মারে।
নগদের কাছে বিবেক তুচ্ছ-
ওরা মায়ের বসন বিক্রি করে,
ক্ষমতার দর্পে দিশাহীন ওরা
ফেলে গণতন্ত্রের লাশ।
তবুও আমরা বোবা গান্ধারী
শুনে যাই দুযোর্ধনের উল্লাস।