Monthly Archives: November, 2021

খেয়ালি

একটা কাঁটা ঝোপ বেশ বড় হয়ে ছিল। গাছ টা শুধু কাঁটাগাছ ছিল তাই নয় সেটা ছিল বিষাক্তও। কাঁটাঝোপ টার আশপাশ একটু ফাঁকা। অন্য গাছ...

আকাশী

"আকাশী"‌সত‍্যি কি শেষ বলে কিছু আছে ? নাকি রাজীব নতুন ভাবে বাঁচতে পারছে না বলে শেষ হয়ে যাচ্ছে ! যদি সত‍্যিই ভালোবাসার শেষ বলে...

Philosophy of Me

Thoughts have a continual successionof complacency or anxiety, black thoughts paint me a fire fly that emits light mere in the darkness.I am like the flowing...

নবরাত্রির মাহাত্ম্য কথা

নবদুর্গা নবদুর্গা সবাই বলেন শুনি, আভিধানিক অর্থ কি-কজনাই বা জানি ! মা দুর্গার নয়টি রূপের আরাধনার সাথে, আজকে তাঁরে প্রণাম করি মহালয়ার প্রাতে। যিনি দুর্গা তিনিই সতী...

তাই-Ray নাই-Ray নাই-Ray

এ বছর, আমাদের দেশের দুজন নবাগত ও একজন অতি জনপ্রিয় চিত্রপরিচালক, সত্যজিৎ রায়ের প্রতি স্রধা জ্ঞাপন করার জন্যে, তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁরই চারটে গল্প অবলম্বনে একটি হিন্দি সিনেমার সংকলন বা Anthology তৈরি করে, বহু লোকের বিরাগভাজন হয়েছেন।Social Media -তে  meme-এর বন্যা, খবরের কাগজ ও পত্রিকায় গুপী বাঘার কান্না, আর virtual meeting-এ জ্ঞ্যানি গুনিদের চিন্তিত সমাবেশ,  এসবেরই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘Ray’ ছবিটির সমালোচনা।চারিদিকে শুধু হা হা কার, ‘কোথায় Ray ? এ সিনেমার মধ্যে তো কোত্থাও নাই Ray.’জানিনা, এতো 'নাই Ray, নাই Ray’ রবে, পরিচালক ও প্রযোজকদের বাড়ির বাইরে বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিনা ( অবশ্য এই Lockdown -এর মরশুমে, খুব বেশি বাইরে না বেরনোই ভালো)।আমিও এই Rayবঞ্চিত ক্রন্দনের সমবেদক হয়ে, সিনেমাটা দেখবনা বলেই একরকম স্থির করেছিলাম। তবে এই করোনা পিড়ীত আবহাওয়া ও আকাশচুম্বী তেলের দাম, বাড়ির বাইরে বেরনো সম্পূর্ণ ভাবে অসম্ভব করে তোলার দরুন, বেশ অনেকটা অবসর সময় পেয়ে গেছিলাম। তাই এক মেঘলা রোববার, বাড়ীতে তৈরি কফি ডালগোনা, আর YouTube অনুপ্রেরিত জিলিপি চারকোনা সহযোগে, দেখতে বসলুম ‘Ray’। তারপরেই এই কলম ধরা।এইবারে যে সব পাঠকেরা ভাবছেন, এদ্দিন পরে আবার কোন এক আঁতেল, এই সিনেমাটার সমালোচনা লিখেছে, তাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, যে ফিল্ম সমালোচনার কাজটা আমি, আমার থেকে আরো অনেক বেশি সিনেমা শিক্ষিত ও সেলুলয়ডে দীক্ষিত লোকেদের, মজবুত স্কন্ধে চাপাতে ভালবাসি। এটা নেহাতি একটি হাল্কামেজাজের,Lockdownএ বিরক্ত হওয়া মনের অভিব্যাক্তি মাত্র। এর বেশি মর্যাদা এই লেখাটিকে দিলে, আমিইলজ্জায় পড়ে যাব।দেখলাম সত্যজিৎ রায়ের গল্প বিক্রিত করার অভিযোগে বেশ কিছু সত্যজিৎ ভক্ত, এ ছবির পরিচালকদের বিরুদ্ধে প্রায় জিহাদ ঘোষণা করে বসে আছেন। এদিকে তদন্ত করলে হয়ত দেখা যাবে যে এনাদের মধ্যে অধিকাংশই, সত্যজিতের ছবি বলতে, জানেন শুধু পথের পাঁচালি, অপুর সংসার, গুপী গাইন বাঘা বাইন, হীরক রাজার দেশে, সোনার কেল্লা আর জয় বাবা ফেলুনাথ। সত্যজিতের সব ছবি গুলো দেখা থাকলে, হয়ত ওনারা উপলব্ধি করতে পারতেন, অরণ্যের দিনরাত্রি দেখে সুনীল গাঙ্গুলির ও চারুলতা দেখে বিশ্বভারতীর, কপালে ঠিক কতটা গভীর খাঁজ পরেছিল। ( এমনকি গুপী বাঘাও কিন্তু মূল কাহিনী থেকে অনেক আলাদা )। সত্যজিতের প্রবন্ধ পরে থাকলে তারা জানতেন, সত্যজিৎ নিজেই বলেছেন যে একটি গল্প থেকে ফিল্ম adaptation করতে হলে, গল্পকে সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রেখে তা করা সম্ভব নয়। জলে আর ডাঙায় এক পদ্ধতিতে তো বিচরণ করা সম্ভব নয় ( অন্তত সাধারন লোকের পক্ষে )। দেশে বিদেশে যত কালজয়ী উপন্যাস বা অন্য সাহিত্য কীর্তি অবলম্বনে সিনেমা তৈরি হয়েছে, তার প্রায় সবই মূল গ্রন্থ থেকে ভিন্ন। লেখক ও পরিচালক এই দুই শিল্পী, নিজ নিজ শিল্প দক্ষতায়, তাদের নিজেদের শিল্প মাধ্যমে একটি কাহিনী বা একটি বক্তব্য পরিস্ফুট করার চেষ্টা করেন। এই দুই ভিন্ন শিল্প মাধ্যম সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, তাই এদের সমালোচনাও স্বতন্ত্র ভাবে হওয়া উচিত। গল্পের সাথে ফিল্মের তুলনা করাটা সম্পূর্ণযুক্তিহীন।অবশ্য একটা প্রাসঙ্গিক তর্ক হতেই পারে, গল্প অবলম্বনে শেষ পর্যন্ত যে সিনেমা তৈরি হলো, সেটা কি দর্শকদের অতটাই আমোদ ও আনন্দ দিতে পারলো, যতটা মূল সাহিত্য দিয়েছিল ? এই তর্কের বিভিন্ন যুক্তি থাকতে পারে এবং অনেকেই নিজের ব্যাক্তিগত মতামত দিতে পারেন।Ray সিনেমাটিকে, যদি শুধু সিনেমার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করা হয়, তাহলেও সমালোচকরা সমালোচনার অনেক রশদ খুঁজে পাবেন ( পেয়েওছেন বলে আমার বিশ্বাস ) । তার জন্যে বারে বারে সত্যজিতের মূলকাহিনীর সাথে তুলনা টানার কোন প্রয়োজন নেই।আমার মতো অপণ্ডিত ও আনাড়ি দর্শকের কাছেও ছবিটার কিছু কিছু ত্রুটি খুবই দৃষ্টিকটু  লেগেছে।যেমন ধরুন প্রথম গল্পটা,Forget Me Not ( ফুলটি কিন্তু সিনেমাটির থেকে অনেক বেশি সুন্দর ) সৃজিত মুখোপাধ্যায় যে বহু বিলিতি ছবি ও TVSeries দ্বারা অনুপ্রেরিত, এটা ওনার প্রায় সব ছবিতেই খুব পরিস্ফুট। এই সিনেমাও তার ব্যাতিক্রম নয়। অন্য সিনেমা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়াটা কোন নতুন ব্যাপার নয় এবংকোন অপরাধ বলেও আমি মনে করিনা। তবে একজন দক্ষ পরিচালক, কোন ভালো সিনেমা থেকে তারaesthetics বা চারুকলাগুলি উপলব্ধি করে সেগুলিকে নিজের সিনেমায় ( প্লটের সাথে প্রাসঙ্গিকতা মাথায় রেখে)  ব্যবহার করবেন বলেই আমরা আশা করে থাকি । সত্যজিৎও তাই করেছেন, উদাহরণ হিসেবে Fellini-র  8 1/2 (Eight and a Half)  ছবির সাথে নায়ক ছবিটির তুলনা দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ‘Forget Me Not’-এ আমরা বহু sequence দেখতে পাই, যা সম্পূর্ণ বিদেশি সিনেমার অনুকরণ, তবে তার সাথে প্লটের প্রাসঙ্গিকতা ( কিছু কিছু ক্ষেত্রে ) খুঁজে পেতে অসুবিধে হয়। যেমন ধরুন, আলি ফাজালের গাড়ির accident-এর দৃশ্যটি, এর আগে অন্তত ডজন খানেক ছবিতে এই এক দৃশ্য দেখা গেছে, কিন্তু দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগে, এটার কি সত্যিই দরকার ছিল, কিংবা অফিসের গ্যারেজে নিজের গাড়ির জায়গায় সবকটি গাড়ির Unlock alarm বাজিয়ে তোলা, এর মতো predictive দৃশ্য ভারতীয় ছবিতে খুব কমই আছে বলে আমার মনে হয়েছে।  এই সিনেমার শেষের দৃশ্যের যে extended shot-এর নির্মাণ সৃজিত করেছেন, (যদিও পুরোটা continuous নয়), সেটির কিন্তু প্রশংসা না করে পাড়া যায় না। পুরো সিনেমাটিতে শুধু ওই দৃশ্যটিই সৃজিতের পরিচালনার দক্ষতা ( এবং সঙ্গে সম্পাদক ও cinematographer মহাশয়দের কারিগরি ) কে অনেক ভালভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বলে আমার মনে হয়েছে। যদিও সৃজিত এই গল্পটিকে একটি রোমহর্ষক গল্পের রূপদিয়েছিলেন (BlackMirror দ্বারা অনুপ্রেরিত হয়ে ), তবুও এতটা Negetive চরিত্র, বোধয় বাঙালী দর্শক ঠিক গ্রহণ করতে পারেনি। কালো আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি কার ভালো লাগে বলুন ?‘বহুরূপী’ গল্পটিতে সৃজিতের prosthetic মেক-আপ-এর প্রতি দুর্বলতা, Vinci দার পর আবার দেখা যায়। এবারে মূল কাহিনীর সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্য বজায় রেখে, আবারঅন্ধকারের পথে পা বাড়ালেন পরিচালক। সিনেমার জন্যে মূল গল্প পরিবর্তন করাটা কোন অপরাধ নয়, এটাআগেই বলেছি, কিন্তু সিনেমার দৈর্ঘ্যের খাতিরে, গল্পকে অপ্রয়োজনীয়ও ভাবে টেনে বড় করাটা ( বিশেষ করেযখন সেই টান, দর্শকের ধৈর্যের সাথে টানাটানি শুরু করে ),  এটা ঠিক দক্ষ পরিচালকের থেকে প্রত্যাশা করাযায় না। কিছু অপ্রাসঙ্গিক যৌন দৃশ্য, আর সবশেষে রক্তাক্ত ক্লাইম্যাক্স,  এসবই যেন জোর করে বসিয়ে দেওয়াহয়েছে প্লটের মধ্যে, শুধুমাত্র Netfilxএর অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্ক seriesএর সাথে মানানসই করে তোলার জন্যে।কেবল, কে কে মেনন ও দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের অভিনয় ছাড়া এই গল্পটি,Ray anthologyর সবথেকে দুর্বল অঙ্গ বলে মনে হয়েছে।কিন্তু এর পর থেকেই যেন কালো মেঘ কেটে গিয়ে সোনালি রোদ ঝিলিক দিয়ে উঠেছে সিনেমাটিতে,খুশ বখৎ-এর হাত ধরে, ‘হাঙ্গামা হ্যাঁয়  কিউ রে বাপরা’( নামটি যত কঠিন, ছবিটি ঠিক ততটাই সরল ) ছবিটিতে। যারা সত্যজিৎ রায়েরগল্প পড়তে অভ্যস্ত, তারা জানেন, সত্যজিতের বেশিরভাগ গল্প শেষ করে, মুখে আপনা থেকেই একটা হাসিফুটে ওঠে পাঠকদের, এই ছবিটি দেখেও আমার ঠিক সেরকমই একটা হাসি ফুটে উঠেছিল নিজের অজান্তেই । ঠিক এতটাই আমোদ প্রদান করেছে সিনেমাটি। এটি, একটি অতি সরল প্লট অবলম্বন করে শুধুমাত্র অভিনয়ের সাবলীলতার সাহায্যে কাহিনীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে।  মনোজ বাজপেয়ী, গজরাজ রাও, রঘুবির যাদব, এরাপ্রত্যেকেই এ যুগের কিংবদন্তি অভিনেতা। কিন্তু শুধু ভালো অভিনেতাদের নিলেই একটা ভালো ছবি তৈরি হয়না। ভালো অভিনেতাদের ভালো স্ক্রিপ্ট দিয়ে, তাদের থেক সেরা কাজ আদায় করে নেওয়াটাও জরুরি। এইখানেইঅভিশেক চৌবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। স্ক্রিপ্টের জন্যে নিড়েন ভট্টকেও কুর্নিশ না করে পাড়া যায়না। সিনেমার প্লটের সাথে গজলের সমাবেশ যেভাবে ঘটিয়েছেন এরা, তাতে এই ছবির তুলনা প্রায়Damien...
- Advertisment -

Most Read

Print Friendly, PDF & Email