আর এই যে আয়কর দপ্তরের কাণ্ডকারখানা, তোমরাও নিশ্চয়ই খবরের কাগজে পড়েছ বা ‘টিভিতে’ দেখেছ।সুতরাং অবিশ্বাসেরকিছু নেই। তবে এর পরে কি হল সে খবর কি জান ! সে সব খবরই অবশ্য আমি পচার কাছ থেকেই পেয়েছি।
পচার ত এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ। পটকান তাকে সহায়ক থেকে একেবারে কোম্পানীর সরাসরি পঞ্চাশ শতাংশ অংশীদারকরে নিয়ে তাকে ‘পাঁজা এনটারপ্রাইজেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর’ পদে বসিয়ে দিয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারীর শেষ সপ্তাহে তাঁর একমাত্র মেয়ে কাঁপাঁ মানে কাঁকন পাঁজার সাথে পচার বিয়ে হল। সেই বিয়ের নিমন্ত্রণ করতেই পচা আমাদের বাড়ী এসেছিল।
পটকান বাবুর ‘ঘটা’ নামে একটা দারুণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত উৎসব বাড়ি আছে দক্ষিণ কলকাতায় গড়িয়াহাটে তাঁর বাড়ির কাছে।সেখানেই তিনি বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। বিশাল ব্যাপার। আর আমাদের বারুইপুরে তাঁর যে আরেকটা বড় উৎসব বাড়িআছে ‘খাইখাই’, সেখানেই বৌভাত হল। সেখানেও জাঁকজমক কিছু কম হয় নি।
অতি সম্প্রতি পচা তার বালীগন্জ প্লেসের চারতলা সুসজ্জিত বাড়িতে মা, কাকী , কাকা সকলকে নিয়ে চলে গেছে। বাড়ির নামদিয়েছে ‘স্বর্গের সিঁড়ি’। পচা বলে যে অত্যন্ত সাধারণ অবস্থা থেকে সে আজ যেখানে উঠেছে তা তার কাছে স্বর্গের সিঁড়ি বই আরকিছুই নয়। তাই তার বাড়ির অমন নাম দিয়েছে।
তোমরা যদি কোনদিন বালীগন্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোডে যাও, ফার্ন রোডে ঢুকে দেখবে একটা বড় রাস্তা কিছুটা গিয়েই শেষ হয়েগেছে। ওই রাস্তাটার নাম-‘গুজগুজে গড়গড়ি সরণি।’ ঐ রাস্তায় সবচেয়ে শেষে যে সুন্দর বিশাল বাড়িটি রয়েছে সেটিই হতবুদ্ধি বাপটকানের । সপরিবারে হতবুদ্ধি এখানেই থাকেন। বাড়ির নামটিও খুব সুন্দর, ‘আয়না।’। আগে নাম ছিল, ‘পাঁজা মন্জিল’ ।আয়কর দপ্তর থেকে ‘আয়না’ উপাধি পাওয়ার পর পটকান ঢোল বাড়িটার ভোলই পাল্টে দিয়ে ঐ নামেই বাড়ির নামকরণকরেছেন। তোমরা গেলেই দেখতে পাবে।
শেষ খবর যা পেয়েছি ‘পাঁজা এনটারপ্রাইজেস’ এক নামকরা পানীয় সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে আগামী গ্রীষ্মে বাজারে একটা ঠাণ্ডাস্বাস্হ্যকর পানীয় নিয়ে আসতে চলেছে। আর সেই পানীয়ের নামকরণ কিন্তু পচা মানে আমাদের পশুপতি চাকলাদারই করেছে। ‘পাঁজাকোলা’ ।
।তৃতীয় ও অন্তিম পর্ব সমাপ্ত।