মেয়েটা বড় পাগল ছিল
একটা শালিখ পুষত|
মানত একটি ভগবানকে
আর সব রীতির কারণ জিজ্ঞাসা করতো।
একচোখ দেখলে ভয় পেত না মোটেই
শনি মঙ্গল বার এ ও আমিষ খেয়ে বসত।
মেয়েটা বড় পাগল ছিল
ভালোবাসলেই ভালোবাসা পাওয়া যায় ভাবতো।
রাস্তা এ বেরোত মাথা উঁচু করে
রুখে দাঁড়াতো কেউ অসভ্যতা করলে।
জানত না যে লোকে বলে তাদের খারাপ মেয়ে
নিজের হক এর জন্য লড়লে।
মেয়েটা বড় পাগল ছিল
বই এর কথা সত্যি বলে মানত।
স্বপ্ন ছিল দু চোখ ভরে দুনিয়া টা কে দেখবে
একটি শুধু বন্ধু হলে সঙ্গে তাকেও নেবে।
বুঝতো না যে দুনিয়া ভরে আছে অনেক শ্বাপদ
একা মেয়ের বেরোনো বারন, বেরোলেই বিপদ।
সব আশঙ্কা সত্যি করে একদিন সে পুড়লো
দোষ যে ছিল অনেক, সেটাই সবাই বললো।
সমাজ এ থেকে সমাজের বিরোধিতা
এত তার আস্পর্ধা
বেশ হয়েছে, ঠিক হয়েছে সেটাই শুধু শুনলো।
মেয়েটা বড় পাগল ছিল
তাই তো এমন ভুগল।