নিস্তব্দ রাস্তা, দু চারটে ছেঁড়া প্লাস্টিক উরছে হাওয়ায়।
এক পশলা বৃষ্টির পর মাটির সোঁদা গন্ধটা মম করছে।
একজন লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি ফিরছে।
আধ তৈরি ফ্ল্যাটের মজুর গুলোর রেডিও থেকে হালকা আওয়াজ আসছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে চাঁদটা অনেকটা হেলে গেছে।
রাতজাগা কুকুর গুলো এবার বালির ওপর বসে হাই তুলছে।
লাল মেঘটার আড়ালে তারা গুলোও শুয়ে পরেছে।
মোড়ের মাথায়ে কয়েকটা মাঝ বয়সী মেয়ে,
পরনে ঝিকিমিকি শাড়ী, এক হাত কাঁচের চুড়ি,
মাথায়ে জুঁই ফুল লাগানো।
টকটকে লাল লিপস্টিক আর ফেস্ পাউডারের আড়ালে
এক মুখ প্রত্যাশা আর চিন্তা।
শাড়ীর সেফটিপিনটা আলগা করে দাঁড়িয়ে আছে ছেলে-মেয়েদের পেট ভরানোর জন্য।
ঝোড়ে পরে যাওয়া ছাতিম ফুলগুলোকে পা দিয়ে মারিয়ে চলেগেল, কয়েকটা ছেলে।
চোখে তাদের বাসনা, আর এক মুখ খিস্তি।
এ.টি.এম এর ভিতর গল্পে মত্ত দুই দারোয়ান,
ধর্ষিতা এক মালকে নিয়ে।
মেয়েরা আজ বেশীই স্বাধীন, একা একা কাজ করছে, চষে বেড়াচ্ছে শহর।
লোভনীয় কাপড় পরছে, ছেলেদের আর কি দোষ ?
পাশে তার রাখা ফ্লিপকারট এর পার্সেল।
মেয়ের আবদারের ক্রপটপ আর টরন জিন্স।
দু-মুখো সাপটা কথাও লুকিয়ে আছে, ভারতীয় সংস্কৃতির গর্তে।।।