ছেলেবেলা ।

এক দিন আয়নাতে ফিরে পেলাম পুরো ছেলেবেলা ।

ফড়িং এর লেজে সুতো বেধে উড়ছে, ইচ্ছেপুরনের নাম। ফড়িং উড়ে যেতে পারে না। ইচ্ছের মতন, যেগুলো কোনদিন আর পূরণ হোল না। কিন্তু সেই ফড়িং গুলো! কোনদিন আর দেখিনি তাদের। আমাদের ইচ্ছের ভার তাদেরকে মানুষ করে দিয়েছে।

একটা প্রজাপতি বন্দি ছিল, কাঁচের জার; মুখে বাধার পুরানো মশারির টুকরো। তার পর কাঁচের বন্দিত্বে প্রজাপতি জন্ম দিলো অনেক প্রতিবিম্ব। রঙিন জার জুড়ে এখন শুধু বাসি সময়ের গন্ধে আলাপ করে বে নী আ স হ ক লা ।

তিনটে বিড়ালের বাচ্চাকে ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম, ভুবনডাঙ্গার মাঠে। ভরা কুয়াশার রাতে তারা ফেরার রাস্তা খুঁজতে ব্যস্ত। এখনো আমি আর কুয়াশার রাতে আলো জ্বালাই না। মশারী গুঁজে দিই আরও বেশী করে।

তোমার পিঠের লাল দাগ গুলো ব্যস্ত ছিল, চোখের জল শুকিয়ে দিতে। আমি দূরে নির্ভেজাল সত্যি চেপে গিয়ে আকাশ পাতাল ভাবছি। একটা ঘুড়ি নিজেকে ভাসিয়ে দেয় আকাশে। সুতোর শেষ খুঁজছে হাত, কোথায়? চাঁদ ধরবো, লগা বানাচ্ছি।

এক দিন আয়নাতে ফিরে পেলাম পুরো ছেলেবেলা । নিচে টুকরো টুকরো, ছড়িয়ে ছিটিয়ে, আমি ও কিছু রক্তপাতের ছেলেবেলা ।

~ ছেলেবেলা ~
Print Friendly, PDF & Email
Previous articleনষ্ট মেয়ে
Next articleHow Thesis Writing Services Have Made Impact Over The Internet?
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments