রাতের আধার যেন একমুঠো ভ্যানগগ
অনন্ত নিস্তব্ধতায় জেগে থাকে রাতপাখি
নি:স্ব নিস্তেজ নির্জীব–
মৃত শব্দগুলো বেঁচে ওঠে আবার
আলো আধারির স্বপ্নে তারা এক একটা দানব!
সকালের মানুষগুলোর দীর্ঘশ্বাস আধারদেবতা শুনতে পায়না
শুনতে চায়না হয়ত।
ক্যানভাসের রঙ রঙিন হতে পারেনি কখনও
মিথ্যের জটিলতায় আস্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আজ সে মৃত।
সাত রঙা রামধনুটি কবে যে পরিনত হল নিকষ কালো backdrop এ ,
কেউ খোঁজ রাখেনি-
সব শেষের দেশে তারারা আজ নিষিদ্ধ
আধারটুকু পাথেয় করেই ‘ রাত্রি ‘পথ চলেছে তার
চাঁদের আত্মহত্যার খবর চাওড় হয়নি এখনও
সমাজ হতে দেয়নি আর কী…
টুটি চেপে কন্ঠরোধ করার আদিম পন্থায় তারা যে সিদ্ধহস্ত!
রাত্রির মাদকতা আরও আরও আরও পৈশাচিক করে তোলে তাদের…
আর আমরা?..মিথ্যে নেশায় বুদ হয়ে নিজের প্রাপ্যটুকু বিসর্জন দেই সস্তার উন্মাদনায়!
সত্যের মৃত্যু নেই , কবির আছে
গভীর রাতে বৃষ্টি নামে- পৃথিবী তখন ঘুমিয়ে,
চোখের শেষ জলটুকু যেন মিশে যায় অতল সাগরে-
শীতল হয় পৃথিবী – মুক্তি পাই আমরা..ক্ষনিকের মুক্তি…
তবু তো মুক্তি!!
ঈশ্বর আবার হারিয়ে যান—- গভীর ঘন অন্ধকারে-
আধমেলা চোখে অবচেতন আমি হেসে উঠি
অবাকও হই কিছুটা!
একি সাইকোডেলিক মাদকতা?…নাকি জীবনের এক সত্য অভিজ্ঞতা।