প্রলোয়ল্লাসে মেতেছে ঝঞ্ঝা করেছে ‘সর্বহারা’,
‘কুহেলিকা’ সম কুজ্ঝটিকায় রিক্ত জীবনধারা।
‘পথহারা’ সবে খুঁজে খুঁজে ফেরে সঠিক ‘পথের দিশা’,
চারিদিকে যেন বাজে ‘রণ–ভেরী’ , এ কি ঘোর অমানিশা !
‘কমল কাঁটা’য় বিদ্ধ ধরণী ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’,
নীরবে সহেন বিশ্ববাসীর ‘দারিদ্র্য’, ‘কোরবানি’।
‘উদ্দাম’ এই শত্রুর হেরি শক্তিটা নয় অল্প,
এই ‘চৈতি হাওয়া’র বিতাড়নে চাই ‘অভিযান’ ‘সংকল্প’।
আজ’চাঁদনী রাতে’র ‘অবেলার ডাকে’ দাও এবে সবে সাড়া,
যেন বিভাষিত হয় অপরূপ রূপে আগামী ‘সন্ধ্যাতারা’।
‘বিষের বাঁশি’র ফুৎকারে বুঝি লণ্ডভণ্ড বিশ্ব,
‘খোকার সাধ’ অপূরণে হায় মাতাপিতা দোঁহে নি:স্ব।
দুর্দম অরি অদৃশ্যচারী-‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’,
‘আপন পিয়াসী’ সর্বগ্রাসী– হুঙ্কারে সংহার।
এসো হে ‘মানুষ’ ‘দূরের বন্ধু’ ‘পিছু ডাক’ দূরে ঠেলে,
‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ গাও ‘ঝোড়ো গান’ সবে মিলে।
এই ‘দু:শাসনের রক্ত পানে’ই সব্যসাচীর দল,
‘ধূমকেতু’ সম শত্রুর করো বিনাশ যতেক ছল।
হে মানব–এই দুর্ভোগ তব কৃতকর্মেরই ‘পাপ’,
‘রক্তাম্বরধারিনী মা’-তাঁর রোষায়িত অভিশাপ।
নিজেদের বুঝি ভেবেছিলে ‘মোরা ঝন্ঝার মতো উদ্দাম’,
হয়েছিলে তাই ‘বিদ্রোহী’-আজ তারই হেন পরিণাম।
‘নারী’রে দাওনি সম্মান নর উদ্ধত শিরোমণি,
‘পূজারিণী’ সনে করেছ ব্যাঙ্গ–ভুলেছ সে দেবী জননী।
বসুন্ধরার ‘ফরিয়াদ’ তাই তোমাদের প্রতি মানব,
হারায়েছ তাঁর ‘আশীর্বাদ’-মর্ত্যবাসী হে দানব !
এখনো সময় আছে বন্ধুরা–গাও গান ‘আগমনী’,
‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কর শোধন হৃদয়খানি।
তাঁর সনে করো ‘উৎসর্গ’ সেই কনক হৃদির খনি,
‘প্রভাতী’ আলোকে আলোকিত হোক ঊষশীর ‘জাগরণী’।
‘বিদায় বেলায়’ পাঠকের করে দিলেম কাজীর বেণু,
কবির ‘গানের আড়ালে’ সাজানো মোর ছন্দের রেণু।