রোজগার পাতি শেষ হলে একটা রাস্তাও একলা হয়ে যায়
– যেমন আমাদের বিতানপুর -এর রাস্তা।
এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরের উষ্ণপ্রস্রবণ, আজ আর গরম জল বার করেনা।
তাই বিনা দর্শকে ফাঁকা উষ্ণপ্রস্রবণ শূন্যতা ওগরায় …
আমি মাঝে মাঝে যাই ওখানে
একা; বসে থাকি।
অনুভব করি পুরানো সব জলকেলি
একে অন্যের দিকে ছিটিয়ে দেওয়া নরম উষ্ণ জল
দু হাতে নিজেকে আড়াল করতে চাওয়া সুন্দরী নারী
অথবা
দূর থেকে ছুটে এসে টই টই করা কচিকাঁচার দল
সব আছে … শুকিয়ে যাওয়া শব্দের প্রতিবিম্বে।
শব্দ এখনো এখানের পাথরে লেগে
রাত যখন ঢলে আসে, লণ্ঠন জ্বলা দূরের বাড়িতে
শব্দেরা নেমে আসে … শুকনো পাথরের থেকে
প্রবেশ করে গভীরে … আরও গভীরে
কান পাতলেই শুনতে পাই, জল উঠছে
উপরে
আরও উপরে
অপেক্ষায়, চাঁদ আজ ঘর ছেড়েছে …

~ বিতানপুর ~
Print Friendly, PDF & Email
0 0 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments