কখনও দুহিতা, কখনো জননী কখনো বা তুমি জায়া,
তোমার দেহের গহীন গহরে লালিত পুরুষ কায়া।
এই চরাচর প্রণমে তোমারে–তুমি যে পরমা প্রকৃতি,
নয়কো অবলা,নয় অসহায়া,তুমি কল্যাণী অদিতি।
তুমি মা শক্তি–গুণে গরিমায় তুমি লাবণ্যময়ী,
তোমার প্রেরণা লভিয়া পুরুষ জীবনযুদ্ধে জয়ী।
প্রতি ঊষশীর পুণ্য লগণে তোমারে বরণ করি,
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি তাহার মূলেতে নারী।
প্রকৃত অর্থে রমাই শক্তি পুরুষ তাহার শাখা,
রমার ছায়ায় লভে সে মুক্তি,রমাই জীবনরেখা।
নারীকে পুরুষ দেয় আশ্লেষ,বদলে লভে সে প্রাণ,
নারীই সহন করে যত ক্লেশ,অনুপম অবদান।
পুরুষ ভরায় উপাদানে ঘর,বামারাই করে সৃষ্টি,
পুরুষটি যদি গ্রীষ্ম প্রখর,ললনা তাহলে বৃষ্টি।
মায়ার বাঁধনে শর্বরী বাঁধা,তাই সে ত’ মায়াবতী,
এমন কোনোই শব্দের সুধা লভে নি পুরুষ জাতি।
আধেক মানবী আধেক সে দেবী,কাব্যেতে অম্লান,
পুরুষ জীবনে ললনাই কবি,গাহে জীবনের গান।
নারীই জননী দেবী বসুমতী,নারীই সৃষ্টি প্রকৃতি,
নারীই নরের জীবনের দ্যুতি,নারীই শক্তি ধৃতি।
তাই নারীর বিহনে পুরুষ শূন্য,নারীই নরের ভূষণ,
নারীর পরশে পুরুষ ধন্য,কোরোনা নারীরে পেষণ।