Home Literature Stories একটি অদ্ভুতুড়ে গুল্প

একটি অদ্ভুতুড়ে গুল্প

1

সেবার গিয়েছিলাম জামুরিয়ায়। মে মাসের মাঝামাঝি। আসানসোলের কাছে। কয়লাখনির শহর। গিয়েছিলাম একসাহিত্যসভায়।রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য। ব্যবস্থাপকরা ছিলেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী সংগঠন।তাঁরাআমার যাতায়াতের সব ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন।

শনিবার সন্ধ্যাবেলায় অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল। কলকাতা থেকে গাড়ীপথে দুশ’ কিলোমিটারেরও বেশী। দুপুর বারটা নাগাদবেরিয়ে বিকাল বিকাল জামুরিয়া পৌঁছে গেলাম। সবকিছুই পরিকল্পনা মাফিক চলছিল। কিন্তু হঠাৎই এক বিপত্তি। আচমকাকোথা থেকে একটা কালো মেঘ উড়ে এসে সব লণ্ডভণ্ড করে দিল।খোলা মাঠে সামিয়ানা টাঙিয়ে অনুষ্ঠান। কিন্তু সন্ধ্যার কিছুটাআগে থেকে প্রায় এক ঘণ্টার প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে সবকিছু পণ্ড হবার জোগাড়।তবে ব্যবস্থাপকদের উদ্যোগ আর কর্মকুশলতায় রাতসাড়ে আটটা নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু করা সম্ভব হল।

কিন্তু আমার হল এক বিপদ। কথা ছিল রাত আটটার মধ্যে আমার ভাষণ শেষ করে কলকাতার পথে রওয়ানা দিলে মোটামুটিরাতে সাড়ে এগারটায় বাড়ী পৌঁছে যাব। আর মে মাসে রাত সাড়ে এগারটা এমন কিছু বেশী রাত নয়। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আরহয় আরেক। ঝড়বৃষ্টির জন্য অনুষ্ঠান শুরু হতেই সাড়ে আটটা বেজে গেল। উদ্বোধনী সঙ্গীত, পুরস্কার বিতরণী শেষে আমারভাষণ যখন শুরু হল তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে নটা পেরিয়ে গেছে।ভাষণ খুবই সংক্ষিপ্ত করে মঞ্চ থেকে নেমে  এসে যখন ভাবছিকি করে কলকাতা ফিরবো এত রাতে,তখন আয়োজকরা প্রস্তাব দিলেন সেই রাত্রিটা জামুরিয়ায় কাটিয়ে দিতে। অত রাত্রেজামুরিয়া থেকে কলকাতায় ফেরাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে তাঁরা আমায় সাবধান করে দিলেন। আর আমিও উপায়ান্তর নাদেখে জামুরিয়ায় সেরাত্রিটা থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। মোবাইল ফোনের কল্যাণে বাড়িতে সব জানিয়ে দিতেও কোনো অসুবিধাহল না।

স্থানীয় যে ডাক্তারবাবুর গাড়িতে আমার যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছিল তাঁর গৃহেই আমার রাত্রিবাসের আয়োজন হল ।আসানসোল , রাণীগন্জ এবং জামুরিয়া সংলগ্ন এলাকার তিনি একজন অত্যন্ত খ্যাতনামা শল্য চিকিৎসক। অতএব আদরযত্নেরকোন ত্রুটি রইল না। অনুষ্ঠান শেষ হতে প্রায় এগারটা বেজে গেছিল। খাওয়াদাওয়া সেরে ডাক্তারবাুবর সাথে গল্পগুজব করতেকরতে কখন যে ঘড়ির কাঁটা পরের দিনে উঁকি দিয়েছিল খেয়ালই করিনি। ডাক্তারবাবু কিন্তু সাহিত্য বিষয়ে যে বেশ সমৃদ্ধ তাঁরসাথে কথা বলে সেটা বুঝতে আমার কোন অসুবিধাই হয় নি। তাই কথা বলতে বেশ ভালই লাগছিল। হঠাৎ তিনি ঘড়ির দিকেতাকিয়ে বললেন-এই রে ঘড়ি ত ছুটছে। কখন বারটার কাঁটা পেরিয়ে গেছে। চলুন আপনার ঘরটা দেখিয়ে দি। তিনতলা বাড়ী।দুতলার আমার জন্য নির্দিষ্ট ঘরে শুতে গেলাম।দেখলাম খুবই সুন্দর ঘর। দক্ষিণ খোলা। চাঁদের আলোয় ঘরটা ভরে গেছে।সেইসাথে বেশ ফুরফুরে হাওয়া। বলা বাহুল্যই রাতের দিকে আকাশ একেবারে পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য ডাক্তারবাবু এসিচালানোর কথা বলেছিলেন । কিন্তু আমি না করেছিলাম। মে মাসের গরম হলেও ঝড়বৃষ্টিতে আবহাওয়া অনেকটা ঠাণ্ডা হয়েগিয়েছিল। পাখাই যথেষ্ট ছিল।

যাই হোক, বেশ নিশ্চিন্তেই শুয়ে পড়লাম।নরম বিছানা। অফুরন্ত হাওয়া।সব মিলিয়ে পরিবেশ বেশ আরামদায়ক।অচিরেই ঘুমিয়েপড়লাম।কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম জানি না।হঠাৎই ঘুমটা ভেঙে গেল। ভালই শীত শীত লাগছিল।তবে কি আবার ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে ! তাই ঠাণ্ডা হাওয়া লাগছে ! কিন্তু খোলা জানালা দিয়ে যতদূর চোখ গেল সেরকম কিছুই বুঝতে পারলাম না।বরং চাঁদের আলোয়ঘরের মধ্যে একটা আলো আঁধারীর পরিবেশ তৈরী হয়েছিল। তাহলে এত ঠাণ্ডা বোধ হচ্ছে কেন !

এবার সামনের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম। দেখি আমার পায়ের কাছে একজন বেশ লম্বাকার কেউ দাঁড়িয়ে আছে। পরণেপাজামা পান্জাবী।কাঁধে একটা শান্তিনেকতনী ঝোলা।কিন্তু মুখটা দেখতে পেলাম না। তবে উচ্চতায় মনে হল সাত ফুটের বেশী বইকম নয়।আমার ত’ আত্মারাম খাঁচাছাড়া হবার জোগাড়।ঘরের দরজা বন্ধ। জানালা খোলা থাকলেও লোহার জাল দিয়ে ঘেরা।তাহলে অত লম্বা লোকটি কি করে ঘরে ঢুকল । আমি কি করব বুঝতে পারলাম না। খাট থেকে নামব এমন সময় সেইআগন্তুকটি

বললে-“দয়া করে ভয় পাবেন না, স্যার।আমি আপনার কোনো ক্ষতি করবো না। আমি আপনার একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত।” লোকটি কেমন নাকিসুরে কথা বলছিল। জিজ্ঞাসা করলাম-“সে ত’ বুঝলাম, কিন্তু তুমি কে বাবা ! আর কিভাবেই বা এই বন্ধ ঘরেঢুকে পড়লে !”  আগন্তুকটির উত্তরে আসে আবার নাকিসুরে। সব কথায় যেন একটা করে চন্দ্রবিন্দু যোগ আছে । তবে তার উত্তরশুনে একদিকে যেমন আমার আপাদমস্তক রাগে জ্বলে উঠলো আরেক দিকে একটু আধটু ভয়ও লাগলো। সে বললে -“ আমার ত’ বায়ুভূত শরীর। যেখানে সেখানে প্রবেশ করতে পারি।কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারে না।”  আমি তখন একটু ধাতস্থহয়েছি। বললাম -“বটে, আমার সঙ্গে চালাকি হচ্ছে ! দাঁড়াও, গৃহকর্তাকে ডাকছি ।”  “ নাঁ নাঁ, সঁত্যি বঁলছি। বিঁশ্বাঁস কঁরুঁন।”  নাকিসুরে কথা বলতে বলতে সে অদৃশ্য হয়ে গেল। ওমা ! পরক্ষণেই দেখি সে একেবারে আমার বিছানার পাশে রাখা আরামকেদারায় বসে রয়েছে।ছোটবেলা থেকে আমি খুব ডানপিটে,সাহসী। অন্য কেউ হলে এতক্ষণে অজ্ঞান হয়ে যেত। কোনক্রমেনিজেকে সামলে নিয়ে তাঁকে শুধালাম-“তার মানে আপনি ভূত। তা আমার কাছে কি প্রয়োজনে !”

নিজের অজান্তেই কখন মুখ দিয়ে তুমির জায়গায় আপনি বেরিয়ে গেছে। এইবারে সেই আগন্তুকটি ধরঝরিয়ে কেঁদে ফেললেন।ভূতের কান্না, সে যে কি ভয়ংকর যে না শুনেছে সে বুঝতে পারবে না। অনেক কষ্টে তাঁকে শান্ত করা গেল। তখন তিনি বললেন – “ দাঁদা, আঁমারে আঁপনি আঁপনি কঁরবেন নাঁ। আঁমি এঁকজঁন ভৌঁতিঁক সাঁহিঁত্যিক। ভূঁতেঁর কঁলম পঁত্রিকাঁর সাঁথে যুঁক্ত। ঐ পঁত্রিকায়আঁমার নিঁয়মিঁত লেঁখা বেঁরোঁয়। কিন্তুঁ এঁবার আঁমাদেঁর সঁম্পাদঁক মঁশাই ব্রঁহ্মদঁত্যি ভঁট্ট আঁমার কাঁছে কঁবিতা চেঁয়ে পাঁঠিয়েঁছেঁন।আঁসছে ভূঁত চঁতুর্দঁশীতে যে পঁত্রিকা বেঁরুবেঁ, তাঁতেঁ ছাঁপাবেঁন।নঁয়ত আঁমার লেঁখা ভুঁল্প, ভুঁপন্যাস ‘ভূঁতের কঁলমে’ স্থাঁন পাঁবে নাঁ।ভুঁড়া , ভুঁদ্য লিঁখতেঁই হঁবে।নঁয়তঁ চাঁকরী থাঁকবে নাঁ। তঁখন আঁমার শাঁকতুঁন্নীকে নিঁয়ে

আঁশশেওড়া গাঁছের তঁলায় বঁসতে হঁবে।দাঁদা এঁকটু দঁয়া কঁরুন। আঁপনি তঁ কঁবিতা লিঁখতে ওঁস্তাদ গুঁরুদেঁব। আঁমারে ফিঁরিয়েদেঁবেন না। আঁর ঐঁ জঁন্যেই তঁ আঁপনাকে বৃঁষ্টিঝড় আঁনিয়ে আঁটকে দিঁয়েছি, স্যাঁর।” এই বলে সে আমার পা দুটো জড়িয়ে ধরেআবার কান্না শুরু করে আর কি। আমি ত’ প্রমাদ গুণলাম। বললাম – “ছাড়ো, ছাড়ো । কি কর কি।” একে ত’ ভূতের ঐ হাড়গিলেহাত। পা দুটো ত’ সঙ্গে সঙ্গে ছড়ে গেল। এখনও তাঁর নখের দাগ আছে পায়ে। তোমরা এলে দেখাব। তার ওপর যদি নাকিসুরেকাঁদতে শুরু করে । বুঝিয়েসুজিয়ে ভূত বাবাজীরে ঠাণ্ডা করা গেল।

কিন্তু ভূতের কথায় ত আমার পিলে চমকানোর জোগাড়।সাহিত্যসভায় এসে এ কি বিপদে পড়লাম রে বাবা ! শেষকালে কি নাভূতুড়ে শিষ্য ! তাও আবার জীবনের প্রথম শিষ্য ! কিন্তু কি করার আছে ! ভূতের হাত থেকে নিস্তার পাব কি করে ! শেষকালে ঘাড়মটকালে ! অনেক ভেবে বললাম – “ ও এই কথা। তা কবিতা লেখা অমন আর শক্ত কিসের ! শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলোনোর নামইত’ কবিতা। যেমন ভূতের সঙ্গে পুত, কাঁপুনিটিপুনি, হাড়ের সাথে ঘাড়। এইরকম আর কি ! তখন ভূত বাবাজীর দেখি আবারআমার পা জড়ানোর উপক্রম। আমি তাড়াতাড়ি পা দুটো সরিয়ে নিলাম। সে বললে-“ গুঁরঁদেঁব, এঁকটাঁ কিঁছু লিঁখে দিঁন। আঁমিশিঁখে নেঁবো।” তখন আমি ‘ভুতুইভাতি’ নামে এই ছড়াটা তাকে লিখে দিলাম।

“ শ্যাওড়া বনে ভুতুইভাতির কাণ্ড আঁধার রাতে,

জ্বলছে সেথা গোবরবাতী জোনাক আলোর সাথে।

গঁদের আঠার ফুলকো লুচি নীল কেরোসিন তেলে,

আজ মহাভোজ একানড়ের আনন্দে চোখ জ্বলে।

ইঁদুর ছুচো টিকটিকির মুণ্ড দিয়ে রাঁধা,

মুড়িঘণ্ট খাবে যত কিম্ভুত সব গাদা।

মামদো চাচা রান্না করে বোকাপাঁঠার ডাল,

নয়শ লঙ্কা বাটা দিলে তবেই হবে ঝাল ।

অক্টোপাসের বিরিয়ানী কালিয়া শুঁটকী মাছে,

চুড়েল আর স্কন্ধকাটা আনন্দে সব নাচে।

তিমি মাছের কবিরাজী গরমাগরম চাই,

গেছো ভূতের নাতির জন্যে নিহেরে মাছের ফ্রাই।

গেঁড়ি গুগলির কোরমা হবে শামুক দিয়ে কাবাব,

কেন্নো কেঁচোর চাটনী খাবেন ভূতরাজ্যের নবাব।

কুটনো কোটে শাঁকচুন্নী মেছোয় কোটে মাছ,

উনিশখানা উনান জ্বলে গনগনে তার আঁচ।

আঁশ ছোন না ব্রহ্মদত্যি মিঠাই রসিক তিনি,

তাঁর জন্যে গন্ধ ছানার হাজার লেডিকেনী।

একশ দিন আগে পাতা একশ কিলো দই,

ব্রহ্মদত্যি ঠাকুরের তাই আজকে চাই-ই-চাই।

রান্না এবার শেষ হয়েছে খাওয়া আজব বটে,

পাত পড়েছে সারি সারি ভুসুণ্ডীর ওই মাঠে।

চলছে খাওয়া ভুতুইভাতির শব্দ হাপুসহুপুস,

রাত পোহালেই কে কোথায় ভূতেরা সব হুস।”

আমার ছড়া পড়ে ত’ আগন্তুক ভূত একেবারে আপ্লুত। ভূত ত’, তাই সব ভাষা জানে। সে বললে – “গুঁরুদেঁব, যেঁ শিঁক্ষা আঁজআঁমি পেঁলাম তাঁ তুঁলনাঁহীঁন।আঁমাদেঁর ভুঁতুইভাঁতির খঁবর আঁপনি জাঁনলেন কিঁ কঁরে ! আঁমি অ্যঁপনাঁর কাঁছে চিঁরকৃঁতজ্ঞ রঁইলাঁম।আঁমিও এঁবার কঁবিতা লিঁখতে পাঁরবো।সাঁমান্য গুঁরুদঁক্ষিণা রঁইলো।আঁপনি নাঁ কঁরবেন নাঁ।”এই বলে সে তার ঝোলার ভিতরথেকে হাত বাড়িয়ে একটা সুন্দর বাক্স আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে একেবার হাওয়া।

আমি ত’ অবাক। ভয়ে ভয়ে খুলে দেখি বাক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটা বাদশাহী সোনার মোহর। গুণে গুণে দেখলাম একশটা মুদ্রা।বুঝলাম, ভূত হলে কি হবে, অতি ভদ্র ভূত। গুরুদক্ষিণা ভালই দিয়েছে। তাড়াতাড়ি আমার ব্যাগে রেখে দিয়ে শুয়ে পড়লাম।পরের দিন কলকাতায় ফিরে এসে আমার এক সোনা ব্যবসায়ী বন্ধুকে দিয়ে গোটা দুই মোহর পরখ করিয়ে বুঝলাম যে ওগুলোআজকের বাজারে খুবই দামী। সব মোহরগুলো এখন গোপনে রেখে দিয়েছি। দুর্দিনে কাজে লাগতে পারে।তোমাদেরকেই শুধুবললাম, কারোকে জানিও না।

এরকম ভাবে কয়েকমাস কেটে গেছে। কালীপূজোর দুদিন পরের ঘটনা। সকালবেলা ঘুম ভেঙে হঠাৎ দেখি বিছানাতে একটা বাক্সআর সাথে একটা বড় খাম।খামটা খুলে দেখি তার মধ্যে একটা আঁকিবুঁকি কাটা পত্রিকা। আর একটা ছোট চিঠি। চিঠিটা কিন্তুবাংলায় লেখা। লেখা আছে – “পড়মসদ্ধেও গুরুদেব, একটা কপিতার বই পাঁটালাম। আমার নেখা ভুদ্য সাঁড়া ভুত সমাযে দাঁড়ুনসাঁরা পেঁলে দিঁয়েচে।আমি এবার ভুত সমাযে সেঁরা কঁপির পুরশকাঁড় পাঁবো।শঁব ভুত বলচে জে আমাড় মথো সক্তিসালি কপিনাকী ভুত সঁমাযে আগে একযোণেী আষেণি। আমাড় প্রঁনাম ণেবেণ। ইতি আপনাড় সীস্য ভুতবীহাড়ী।” বুঝলাম আমার শিষ্যভাষাটা জানলেও বানানটা একেবারেই জানে না।

যাই হোক বাক্সটির মধ্যে আবার একশটা বাদশাহী সোনার মুদ্রা রাখা আছে দেখলাম। সব আমার নতুন বাড়ীতে  গোপনকুঠুরীতে রেখে দিয়েছি।তোমরা এলে দেখাবো। তবে আবার বলছি সাবধান,পাঁচকান কোরো না কিন্তু প্লিজ।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
wpDiscuz
1
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x
Exit mobile version